ম্যাচ সামারি
শ্রীলঙ্কা ২০৯ (৪৩.৩ ওভার)
পেরেরা ৭৮ (৮২) জ্যাম্পা ৪/৪৭
নিসাঙ্কা ৬১ (৬৭) কামিন্স ২/৩২
অস্ট্রেলিয়া ২১৫/৫ (৩৫.২ ওভার)
ইংলিস ৫৮ (৫৯) মাদুশঙ্কা ৩/৩৮
লাবুশেন ৪০ (৬০) ওয়েললাগে ১/৫৩
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ম্যাচের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে কোনঠাসা করলের দুই শ্রীলঙ্কান ওপেনার৷ তাদের সেই ভিত কাজে লাগিয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হলেন অন্য ব্যাটাররা। দুর্দান্ত ফাইটব্যাক দিলেন জ্যাম্পা-কামিন্সরা। শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ কোনোমতে পার হল ২০০ রান। এক পর্যায়ে চাপে থাকলেও জস ইংলিসের দারুণ এক ফিফটিতে সহজ জয় পেল পাচঁবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
দুই দলই বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল প্রথম দুই ম্যাচে হেরে। সোমবারের একমাত্র ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলেই হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে অজিরা ৫ উইকেট ও ৮৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে।
আগের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বিবর্ণ অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা এই ম্যাচেও শুরুটা ভালো করতে পারেননি। সাথে যোগ হয় ইনিংসের প্রথম বলেই রিভিউ নষ্ট করা ও ক্যাচ মিসও। পাথুম নিসাঙ্কা ও কুসল পেরেরা দুজনই তুলে নেন ফিফটি। তাদের ১২৫ রানের জুটির ইতি টানেন কামিন্স। ৬১ রান করে আউট হন নিসাঙ্কা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে এটি এখন চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি।
অন্য প্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন পেরেরা। সেঞ্চুরির ভালো সম্ভাবনা জাগালেও ৭৮ রানে তাকেও ফেরান কামিন্স। পেরেরার ইনিংসে চারের মার ছিল ১২টি। প্রথম স্পেলে খরুচে অ্যাডাম জ্যাম্পা ফিরতি স্পেলে এসেই শিকার করেন দারুণ ছন্দে থাকা কুসল মেন্ডিসকে। প্রথম দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৭৬ ও ১২২।
আরও পড়ুন: ভালো শুরু করেও শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমেছে ২০৯ রানে
এক ওভার পর আবার আঘাত হানেন জ্যাম্পা। ৮ রান করে এলবিডব্লিউ হন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৩২.১ ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে কিছু সময়। সেই সময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৪ উইকেটে ১৭৮। স্বল্প বিরতির পর খেলা শুরু হয় এবং যথারীতি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা।
ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৪৩.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ২০৯ রানে। শেষ ৯ উইকেটে হারায় মাত্র ৫২ রান। ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন লেগ স্পিনার জ্যাম্পা।
আরেক দফা বৃষ্টির জন্য অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের পরে। ম্যাচ শুরু হলে প্রথম ওভারেই ১৫ রান নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। আক্রমণে এসে প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন দিলশান মাদুশঙ্কা। ফিরিয়ে দেন ওয়ার্নার ও আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভেন স্মিথকে।
আরও পড়ুন: ঢেউ তোলা কাশবনে উড়ুক বাংলাদেশের পতাকা
অন্য প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মার্শ। ফিফটি করার পরপরই অবশ্য রান আউট হয়ে যান এই অলরাউন্ডার। ৮৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে গিয়ে প্রথম দুই বলেই চার মারেন জস ইংলিস।
চতুর্থ উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৭৭ রান যোগ করেন মার্নাশ লাবুশেন ও ইংলিস। ৬০ বলে ৪০ রান করার পর মাদুশঙ্কার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লাবুশেন। ম্যাচের ফলাফলে অবশ্য এর প্রভাব পড়েনি কোনো৷ জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইংলিসও।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২১ বলে ৩১ ও মার্কাস স্টয়নিসের ১০ বলে ২০ রানের ইনিংসে ৩৫.২ ওভারে রান তাড়া করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ফলে জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটও উন্নতি করতে পেরেছে তারা।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে