১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৪:১০ পিএম
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়ে ফেলেছিল ওয়েস্ট উইন্ডিজ। তাই এই ম্যাচটা ছিল তাদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সুযোগ। সেই কাজটা ক্যারিবিয়ানরা করেছে। আন্দ্রে রাসেল ও শেরফান রাদারফোর্ডের বীরত্বে উইন্ডিজ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি জিতেছে ৩৭ রানের ব্যবধানে।
পার্থে টসজয়ী উইন্ডিজ ৬ উইকেটে তোলে ২২০ রান। জবাবে ডেভিড ওয়ার্নারের ঝড়ো ইনিংসের পরও ৫ উইকেটে ১৮৩ রানে আটকে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
অবশ্য এদিনও সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছে করুণ। মাত্র ১৭ রানের মধ্যেই তারা হারিয়ে বসে তিন উইকেট। একে একে ফেরেন জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান ও কাইল মেয়ার্স। এরপর রোস্টন চেস ও রোভমান পাওয়েল আশা দেখান উইন্ডিজকে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু অস্ট্রেলিয়ার
দুজন মিলে গড়েন হাফসেঞ্চুরির জুটি। তবে ৭ রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরে গেলে ক্যারিবিয়রা আবারও চাপে পড়ে। সেই চাপ থেকে তাদের উদ্ধার করেন রাসেল ও রাদারফোর্ড।
দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়া বোলাররা। একের পর এক চার ছয়ে রানের চাকা রেখেছেন সচল। ষষ্ঠ উইকেটে এ দুজন যোগ করেছেন ১৩৯ রান। যা ষষ্ঠ উইকেটে এই সংস্করণে ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। দুজনই তুলে নেন অর্ধশতক।
২৯ বলে ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৭১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন রাসেল। অন্যদিকে ৪০ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাদারফোর্ড।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এ দুজনের সবচেয়ে বড় ঝড়টা বইয়েছেন অজি লেগ স্পিনার জাম্পার ওপর দিয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এখন এই লেগ স্পিনারের দখলে । ৪ ওভারে তিনি দেন ৬৫ রান।
এই রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই লড়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৪৯ বলে ৮১ রানের মারকুটে এক ইনিংস তিনি খেলেছিলেন। শেষের দিকে অবশ্য ১৯ বলে ৪১ রানের ক্যামিও খেলেন টিম ডেভিড।
এতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার শুধুই হারের ব্যবধানটাই কমেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের থামতে হয় ১৮৩ রানে। মারকুটে ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৭ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে