১১ জুন ২০২৪, ৮:৩০ এম
দলে মারকুটে সব ব্যাটার থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টপ অর্ডারে ধস নামার পর তো অল্পেও গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও চেপে বসেছিল। তবে দুই অভিজ্ঞ হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার চাপের মুখে মাটি কামড়ে থেকে গড়েন গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি, যা দলটিকে লড়াকু এক স্কোর এনে দেয়। পরে সেটাই যথেষ্ট হয় জয়ের জন্যও। কঠিন উইকেটে এমন ব্যাটিংয়ের রহস্য হিসেবে ক্লাসেন জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ের সফলতা।
আরও পড়ুন: আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও পরাজয়ে নিজেদের ব্যর্থতাই দেখছেন তাওহীদ
কুইন্টন ডি ককের ১৮ রানের ক্যামিওর পরও মাত্র ২৩ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ জুড়েই ব্যাটিংয়ের জন্য ভীষণ দুরূহ নিউইয়র্কের এই মাঠে ওই সময়ে বোলাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। প্রতিটি বলই তাতে হয়ে ওঠে এক একটি ইভেন্ট। খুনে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ক্লাসেন ও মিলার নিজেদের আগ্রাসনকে একপাশে সরিয়ে স্থির থাকেন, বাজে বলেই কেবল বড় শট। তাতে জুটিতে আসে মহামূল্যবান ৭৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানের জয়ের ম্যাচে ৪৪ বলে ৪৬ রান করা ক্লাসেনই শেষ পর্যন্ত হন ম্যাচ সেরার। তার মতে, এই উইকেটে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ভুলে যাওয়াই উত্তম। “আমার মনে হয় আগের ম্যাচে (নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে) ডেভিড মিলার দেখিয়েছে যে এই উইকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হয়। আর এটা প্রায় ওয়ানডে ক্রিকেটের মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটিং করার মতোই। তাই আমাদের মানসিকতা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারেকাছেও ছিল না। আপনি শুধু ক্রিজে টিকে থাকতে চাইবেন এবং বলের সমান রান করতে চাইবেন। আর আপনি জানেন এক বা দুটি বড় শট মারলেই আপনার স্ট্রাইক রেট বেড়ে যাবে।”
দুর্দান্ত এক ওপেনিং স্পেলে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটারকে ফেরান পেসার তানজিম হাসান সাকিব। কাটার, সুইং দিয়ে ভালোই ভুগিয়েছেন ব্যাটারদের তিনি। তাসকিন আহমেদও বল হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। আর এই ধরনের উইকেট যার জন্য আদর্শ, সেই মুস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন অসাধারণ। খরুচে হলেও লেগ স্পিনার রিশাদ তার শেষ ওভারে ফেরান বিপজ্জনক মিলারকে। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশ দেয় মাত্র ১৩ রান।
ক্লাসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বোলারদের সামর্থ্য সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে বলেই আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন তারা। “উইকেট যখন স্লো থাকে, তখন তারা অবিশ্বাস্য বোলিং করে। আমাদের ১২০ রানের মত স্কোর তাড়া না করতে চাওয়ার এটাই বড় কারণ। কারণ উইকেট অবশ্যই আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো ছিল। কিন্তু দলটা বাংলাদেশ, যখনই তাড়া চাপে থাকে, তখনই তারা কাটার দেয়। তাদের দলে বিশ্বের সেরা কয়েকজন কাটার বোলার আছে এবং তাদের স্পিনাররাও উঁচু মাপের। ঠিক এই কারণেই আমরা টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলাম।”
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩:৫০ এম
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১:০০ এম
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৭:১৫ পিএম
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ হওয়া ভারত পার্থ টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে, আর সেখানে বড়সড় ভূমিকা রাখছেন ভিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হাঁকিয়েছেন তাঁর সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি, পেছনে ফেললেন শচীন টেন্ডুলকারের ছয় শতককে। এশিয়ানদের মধ্যে ভিরাটই এখন সবচে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সবমিলে এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ৩০ তম সেঞ্চুরি।
২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষদিকে পোর্ট অব স্পেন টেস্টে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। এরপর গত ১৬ মাসে আরও ৭টি টেস্ট খেলেছেন তিনি, কিন্তু আর কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। ১৫ ইনিংসে মাত্র দু’টি ফিফটি, যা মোটেও যায় না কোহলির সাথে। ব্যাটিং গড় নেমে এসেছে পঞ্চাশের নীচে। এই সময়ে স্টিভেন স্মিথ সেঞ্চুরি সংখ্যায় তাকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁর সেঞ্চুরি সংখ্যা ৩২, আর এবার ২২১ মিনিটে ১৪৩ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলে নিজের শতক সংখ্যা নিলেন ৩০ এ। ম্যাথু হেইডেন ও শিবনারায়ণ চন্দরপলের সেঞ্চুরি সংখ্যাও ৩০। তালিকার ১৬ নাম্বারে এখন কোহলির নাম।
যে ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইয়াসশাসভি জয়সওয়াল ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন, তখন কোহলি হাঁকিয়েছেন সপ্তম সেঞ্চুরি। যার ওপর ভর করে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। অথচ প্রথম ইনিংসে জয়সওয়াল শূন্য ও কোহলি ৫ রানে আউট হন। স্টার্ক-হ্যাজলউডের আক্রমণে ঐ ইনিংসে দিশেহারা হয়ে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
বুমরাহ-জয়সওয়াল-কোহলিরা দারুণ পারফর্ম করে এখন শুধু সিরিজের প্রথম টেস্ট জয় নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার স্বপ্নও জোরালো করেছে। সেঞ্চুরির পর নিজের আবেগ দু’ হাতে দর্শকদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেন কোহলি! সবমিলে এটি তাঁর ৮১ তম আর্ন্তজাতিক সেঞ্চুরি, তাঁর ওপরে আছেন কেবল শচীন টেন্ডুলকার! শচীনের সেঞ্চুরি সংখ্যা ১০০!
প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনেও যে উইকেটে বিশেষ জুজু নেই, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার, এমনকি টেল এন্ডাররাও দেখিয়েছেন বেশ। আর সেটা কাজে লাগিয়ে জাস্টিন গ্রিভসের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ক্যারিবিয়ানরা পেল বিশাল স্কোর। ভারত সফর থেকেই টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটারা আরও একবার পারলেন না শুরুটা ভালো এনে দিতে। দুই দিন পার হওয়ার পর তাই ভালোভাবেই ম্যাচের লাগাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে।
অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসের বাংলাদেশ করেছে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৪০ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটার হলেন মুমিনুল হক (৭) ও শাহাদাত হোসেন দিপু (১০)। পিছিয়ে আছে ৪১০ রানে। ৯ উইকেটে ৪৫০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দেড় দিনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান করেছিল ধীরগতিতেই। সেটা ধরে রেখে বাংলাদেশও ইনিংস শুরু করে স্বভাবজাত ব্যাটিংয়েই। প্রথম সাত ওভারে আসে মাত্র ৫ রান! অষ্টম ওভারে গিয়ে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান জাকির হাসান। পরের আলজারি জোসেফের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে বল তালুবন্দি করতে পারেননি ফিল্ডার, বেঁচে যান তরুণ এই ওপেনার। তবে সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
চমৎকার এক স্পেলে প্রথম ছয় ওভারে তিন মেডেন দেওয়া জেডেন সিলসের এক ওভারে দুই চার মেরে কিছুটা আগ্রাসনের আভাস ছিল জাকিরের ব্যাটে। তবে সেই ওভারেই অফস্ট্যাম্পের বাইরেরর বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড-এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান ১৫ রানে।
পাঁচ রানে জীবন পাওয়া জয় আউট হন একই স্কোরে। আলজারির বলেই প্রায় একই ডেলিভারিতে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নাজমুল হোসেন শান্তর চোটে দলে জায়গা পাওয়া তরুণ দিপু প্রথম ১৬ বলে করেন এক রান। এরপর চার মেরে কিছুটা চাপ সরান। অন্যপ্রান্তে মুমিনুল একপ্রান্ত আগলে রাখার কাজটা সামলান ঠিকঠাকভাবেই। তাতে দিনের খেলা শেষের আগে আর বিপদ হয়নি।
তবে দিনের আগের অংশে বাংলাদেশের সর্বনাশ করেন গ্রিভস ও কেমার রোচ। হাসান মাহমুদের দারুণ এক স্পেলে শুরুতেই দুই উইকেট পেয়ে গিয়েছিল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। তবে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা ক্রমেই কমিয়ে এনেন গ্রিভস-রোচ জুটি। কয়েক দফায় সুযোগ দিলেও বেঁচে যান দুজনই। সেটার পাশাপাশি ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করে ধীরে ধীরে তার জমিয়ে তোলেন জুটি।
চা বিরতির আগে ভাঙে দুর্দান্ত এই জুটি। ইতি টানেন সেই হাসানই। তবে তার আগে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৪০ রানের রেকর্ড গড়েন এই দুজন। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে সাত উইকেটের পরও এটাই এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের জুটি। আগেরটি এসেছিল ২০০৪ সালে। দশম উইকেটে ১৩৩ রান করেছিলেন ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও জহীর খান।
হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৪৪ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন রোচ। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই তার এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড। তিনি মাইলফলক মিস করলেও গ্রিভস সেই ভুল করেননি। দারুণ সব শটের এক ইনিংসকে পূর্ণতা দেন শতকে রুপ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন চার চারে ১১৫ রানে। ৮৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে হাসান ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার।
প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনশ রানের মধ্যেই আটকে দেওয়ার আশা যুগিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। তবে দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে টেল এন্ডার কেমার রোচকে নিয়ে জাস্টিন গ্রিভস গড়ে তুললেন অসাধারণ প্রতিরোধ। একজন করলেন সেঞ্চুরি, আর দুজনে মিলে অষ্টম উইকেটে নতুন রেকর্ড গড়ে দলকে নিয়ে গেলেন বেশ শক্ত অবস্থানে। এতে ভর করে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোরের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা।
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টের চা বিরতিতে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৩৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪১৫ রান। ক্রিজে আছেন গ্রিভস (১০৯) ও জেডেন সিলস (১)।
২৬১ রানে পতন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম উইকেটের। কে ভেবেছিল, পরের উইকেটের জন্য রীতিমত ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার দশা হবে বাংলাদেশের বোলারদের? গ্রিভস ব্যাটিংটা ভালো জানলেও রোচও যে যেভাবে ‘ব্যাটার’ হয়ে যাবেন, সেটা না ভাবাটাই ছিল স্বাভাবিক।
অথচ অষ্টম উইকেটে এই দুজন মিলে খেললেন চিরায়ত টেস্ট মেজাজে। রান বের করলেন দেখেশুনে খেলে। বোলারকে প্রয়োজন মত দিয়েছেন সম্মান, আবার বাজে বল পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি। সিঙ্গেলস, ডাবলসে ব্যতিব্যস্ত রেখেছেন ফিল্ডারদেরও। সেই প্রক্রিয়ায় তিনশ ছাড়িয়ে দল পার করে ফেলেছে চারশ রানও।
শেষ পর্যন্ত চা বিরতির খানিক আগে জুটিতে ভাঙন ধরিয়েছেন দিনের সেরা বোলার হাসান মাহমুদ। তবে তার আগে গ্রিভস-রোচ জুটি যোগ করে ফেলেন ১৪০ রান, যা এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। আর টেস্ট ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অষ্টম উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন এটি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে আগের সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিক ও ট্রাভিস ফ্রেন্ডের। ২০০১ সালে তারা যোগ করেছিলেন ১০৮ রান। গ্রিভস-রোচের জুটি সাত উইকেটের পর সব মিলিয়েও এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। আগেরটি এসেছিল ২০০৪ সালে। দশম উইকেটে ১৩৩ রান ছিল শচীন টেন্ডুলকার ও জহীর খানের।
হতাশাময় সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর চারশ পার করার পরই রোচকে ফেরান হাসান। বোল্ড করেন দেন ডানহাতি ব্যাটারকে। তবে তার আগে ১৪৪ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। অন্যপ্রান্তে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল হয়নি গ্রিভসের। ক্যারিবিয়ানরা প্রথম ইনিংসে আরও কিছু রান যোগ করার জন্য শেষ সেশনে তাকিয়ে থাকবে তার দিকেই।
প্রথম দিনের শেষ দিকে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে অনেকটাই ভারসাম্য এনেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেই ধারাটা বজায় রেখে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দারুণ এক স্পেলে হাসান মাহমুদ এনে দিলেন জোড়া উইকেট। তবে এরপরই যেন কমে গেল সফরকারীদের বোলিংয়ের ধার। সেই সুযোগে অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচ। বড় স্কোরের পথে তাতে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা।
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টের লাঞ্চ বিরতিতে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১১০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৬ রান। ক্রিজে আছেন গ্রিভস (৬৩) ও রোচ (১৯)।
আরও পড়ুন
হাসানের প্রথম টেস্ট উইকেট, শক্ত ভিতে শ্রীলঙ্কা |
অথচ প্রথম ঘণ্টায় হাসানের স্পেল বাংলাদেশ শিবিরে আশা জাগিয়েছিল প্রতিপক্ষকে ২৮০-৩০০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার। দিনের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই গ্রিভসের বিরুদ্ধে হাসানের ছিল কট বিহাইন্ডের আবেদন। তবে সাড়া মেলেনি। তবে তিন বল বাদে জোশুয়া দা সিলভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তরুণ এই ডানহাতি পেসার। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি এই কিপার-ব্যাটারের।
পরের ওভারের প্রথম বলে হাসানকে চার মারেন আলজারি জোসেফ। পরের বলেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। তবে এই উইকেটে বোলারের চেয়ে বড় কৃতিত্ব পেতে পারেন গালিতে দাঁড়ানো জাকির হাসান। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে নেন অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ। ওই ওভারেই রোচকে প্রায় ফিরিয়েই দিচ্ছিলেন হাসান। তবে আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান ক্যারিবিয়ান পেসার।
আরও পড়ুন
হাসানের তোপ সামলে অশ্বিন-জাদেজার ব্যাটে চড়ে শক্ত অবস্থানে ভারত |
দুই ব্যাটার মিলে এরপর জুটি গড়েন ধীরলয়ে। ৫ রানে থাকতে তাইজুল ইসলামের বলে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন রোচ। ডিপে থাকা হাসান দৌড়ে গিয়ে পাননি বলের নাগাল, বাংলাদেশ হারায় উইকেটে সুযোগ। অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলা গ্রিভস। প্রায় নিখুঁত এই ইনিংস খেলার পথে তিনি পরিচয় দেন দুর্দান্ত টেম্পারমেন্টের, যা বাংলাদেশ বোলারদের কাজটা আরও কঠিন করে দেয়।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচের একটা বড় অংশ জুড়ে রানের জন্য করতে হয়েছে সংগ্রাম। সেই ম্যাচে তাও একটা লড়াকু স্কোর ছিল দলটির। তবে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের দলের কেউই পারলেন না আলো ছড়াতে ব্যাটে বা বলে। মামুলি পুঁজি নিয়ে সামান্যতম লড়াইও তাই জমাতে ব্যর্থ হল বাংলা টাইগার্স।
আবুধাবি টি-টেনের শনিবারের ম্যাচে বাংলা টাইগার্স হেরেছে ৭ উইকেটে। তাদের করা ৮ উইকেটে ৬৮ রান ৪ ওভার ও ২৪ বল হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে নিউইয়র্ক।
শুরুতেই দুই ওপেনার হারানো বাংলা টাইগার্সের বড় আশা ছিলেন দাসুন শানাকা। আগের ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার এদিনও ছন্দেই ছিলেন। তবে মাত্র ১০ ওভারের খেলায় যে ধরনের ব্যাটিং প্রয়োজন, সেটা করতে পারেননি। ১৯ বলে ২ ছক্কায় করেন মোটে ২২।
আরও পড়ুন
সাকিবে ট্রফি জিতবে বাংলা টাইগার্স? |
তবে দলকে বিপদে ফেলেন মূলত দুই তারকা স্পিন অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিনস্টোন ও ইফতিখার আহমেদ। যাওয়া-আসার মিছিলের মধ্যে এক সাকিবই যা কিছুটা লড়াই করেন। খেলেন ১২ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রানের ক্যামিও। তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। তার দল বোর্ডে জমা করতে পারে মামুলি স্কোর।
এরপর বল হাতে বলতে গেলে প্রথম ওভারেই আশা মিলিয়ে যায় দলটির। ওয়াইড-নো বলময় ওভারে মোট ১২টি ডেলিভারি করা ডেভিড পেইনে দেন ১৭ রান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এভিন লুইসকে ফেরান ইমরান তাহির।
ছুটতে থাকা নিউইয়র্ককে জোড়া আঘাতে ধাক্কাটা দেন সাকিবই। প্রথম বলেই ডেল্যাড ব্রেভিসকে ফেরানোর পর আসিফ আলিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এক বল বাদে। সেই ওভারে বাংলা টাইগার্স অধিনায়ক দেন মাত্র দুই রান।
আরও পড়ুন
সাকিবকে বিদায়ী টেস্ট খেলাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি বিসিবি, বললেন ফারুক |
তবে হার আটকাতে তা যথেষ্ট হয়নি। চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন নিউইয়র্ক।
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে