১২ জুন ২০২৪, ২:৩৪ এম
দলে মারকুটে সব ব্যাটার থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টপ অর্ডারে ধস নামার পর তো অল্পেও গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও চেপে বসেছিল। তবে দুই অভিজ্ঞ হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার চাপের মুখে মাটি কামড়ে থেকে গড়েন গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি, যা দলটিকে লড়াকু এক স্কোর এনে দেয়। পরে সেটাই যথেষ্ট হয় জয়ের জন্যও। কঠিন উইকেটে এমন ব্যাটিংয়ের রহস্য হিসেবে ক্লাসেন জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ের সফলতা।
আরও পড়ুন: আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও পরাজয়ে নিজেদের ব্যর্থতাই দেখছেন তাওহীদ
কুইন্টন ডি ককের ১৮ রানের ক্যামিওর পরও মাত্র ২৩ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ জুড়েই ব্যাটিংয়ের জন্য ভীষণ দুরূহ নিউইয়র্কের এই মাঠে ওই সময়ে বোলাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। প্রতিটি বলই তাতে হয়ে ওঠে এক একটি ইভেন্ট। খুনে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ক্লাসেন ও মিলার নিজেদের আগ্রাসনকে একপাশে সরিয়ে স্থির থাকেন, বাজে বলেই কেবল বড় শট। তাতে জুটিতে আসে মহামূল্যবান ৭৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানের জয়ের ম্যাচে ৪৪ বলে ৪৬ রান করা ক্লাসেনই শেষ পর্যন্ত হন ম্যাচ সেরার। তার মতে, এই উইকেটে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ভুলে যাওয়াই উত্তম। “আমার মনে হয় আগের ম্যাচে (নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে) ডেভিড মিলার দেখিয়েছে যে এই উইকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হয়। আর এটা প্রায় ওয়ানডে ক্রিকেটের মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটিং করার মতোই। তাই আমাদের মানসিকতা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারেকাছেও ছিল না। আপনি শুধু ক্রিজে টিকে থাকতে চাইবেন এবং বলের সমান রান করতে চাইবেন। আর আপনি জানেন এক বা দুটি বড় শট মারলেই আপনার স্ট্রাইক রেট বেড়ে যাবে।”
দুর্দান্ত এক ওপেনিং স্পেলে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটারকে ফেরান পেসার তানজিম হাসান সাকিব। কাটার, সুইং দিয়ে ভালোই ভুগিয়েছেন ব্যাটারদের তিনি। তাসকিন আহমেদও বল হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। আর এই ধরনের উইকেট যার জন্য আদর্শ, সেই মুস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন অসাধারণ। খরুচে হলেও লেগ স্পিনার রিশাদ তার শেষ ওভারে ফেরান বিপজ্জনক মিলারকে। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশ দেয় মাত্র ১৩ রান।
ক্লাসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বোলারদের সামর্থ্য সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে বলেই আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন তারা। “উইকেট যখন স্লো থাকে, তখন তারা অবিশ্বাস্য বোলিং করে। আমাদের ১২০ রানের মত স্কোর তাড়া না করতে চাওয়ার এটাই বড় কারণ। কারণ উইকেট অবশ্যই আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো ছিল। কিন্তু দলটা বাংলাদেশ, যখনই তাড়া চাপে থাকে, তখনই তারা কাটার দেয়। তাদের দলে বিশ্বের সেরা কয়েকজন কাটার বোলার আছে এবং তাদের স্পিনাররাও উঁচু মাপের। ঠিক এই কারণেই আমরা টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলাম।”
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:০৪ পিএম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৪৭ পিএম
চা বিরতির ঠিক আগে আক্রমণে ফিরলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই আউট হলেন পেসার হাসান মাহমুদ, আর তখনই চা বিরতি দিয়ে দিলেন আম্পায়াররা। আর সেটা বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছে আরও বিপদের মুখে। একে একে যে এই সেশনেই সাজঘরে ফিরেছেন পাঁচ ব্যাটার। তাতে এখন উঁকি দিচ্ছে ফলো-অনের শঙ্কা।
দিনের শুরুতে ভারতকে দ্রুতই ৩৭৬ রানে অলআউট করে ভালো কিছু আশা জাগাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে নামতেই উবে যায় সব। ভারতের পেসারদের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। তাতে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
যেখানে শেষ, সেখান থেকেই যেন শুরু দ্বিতীয় সেশনের। বুমরাহকে এক ওভারে দুটি চার মেরে অবশ্য ইতিবাচক ক্রিকেটের আভাস ছিল মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। তবে তাদের লড়াই বেশিদূর যেতে পারেনি। ৩ চারে ২০ রান করে মোমাম্মদ সিরাজের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের ওভারে মুশফিকুরকেও ফিরিয়ে মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দাঁতে দাঁত চেপে এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
এই দুজনের ৫২ রানের জুটি ভাঙে রবীন্দ্র জাদেজার বলে লিটন দাস সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউটে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে জাদেজাকেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। তার আগে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস।
এরপর হাসানের ওই উইকেট। আর তাতে ৩৬.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ১১২। পিছিয়ে এখনও ২৬৪ রানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টের দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই নেমেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। আর সেই উপলক্ষ্যটা কী দারুণভাবেই না রাঙিয়েছেন হাসান মাহদুদ। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পূর্ণ করেছেন পাঁচ উইকেট। ফলে টানা দুই ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার অসাধারণ কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশ পেসার। তাতে রেকর্ডের পাতায়ও এনেছেন কিছু পরিবর্তন।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংস হাসান শেষ করেছেন ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের এটিই এখন সেরা বোলিং ফিগার। আগেরটি ছিল আবু জায়েদ রাহির (৪/১০৮)।
চার ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দুইবার ইনিংসে পাঁচ শিকার করেছেন হাসান। আর এটা তাকে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় তুলে এনেছে যৌথভাবে রবিউল ইসলামের (৯ ম্যাচ) পাশে। চারবার ফাইফার নিয়ে শীর্ষে আছে শাহাদাস হোসেন (৩৮ ম্যাচ)।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান। অন্য চারজন হলেন নাঈমুল রহমান দুর্জয়, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টানা দুই ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন হাসান। এর আগে এই রবিউল এই কীর্তি গড়েন ২০১৩ সালে হারারেতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
হাসান মাহমুদ প্রথম বাংলাদেশি বোলার যিনি ভারতে টেস্ট ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন। এরআগের সফরগুলোতে সাকিব-তাইজুল-মিরাজদের মত কোন স্পিনারও এই সাফল্য দেখাতে পারেননি। একজন পেসার হিসেবে চেন্নাইয়ের উইকেটে হাসানের সাফল্যে ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করে টাইগাররা।
২০১৯ সালে ইন্দোর টেস্টে পেসার আবু জাহেদ রাহি ১০৮ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন- এটাই ছিল বাংলাদেশি কোন বোলারের সেরা সাফল্য। এবার হাসান মাহমুদ ৮৩ রান খরচায় নিলেন পাঁচ উইকেট। জাসপ্রীত বুমরাহকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে পাঁচ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেন হাসান। বুমরাহ ছাড়া তার বাকি চার শিকারের সবাই প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা ব্যাটসম্যান। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, ভিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্ত- প্রত্যেকেই টেস্টের প্রথমদিন তাঁর দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের শিকার হন। এরমধ্যে প্রথম তিন জন আউট হন সিঙ্গেল ফিগারে, একমাত্র পান্ত খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস।
রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের শেষ ইনিংসে ৪৩ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান, যেটি ঐ টেস্ট জিততে সহায়তা করেছিল টাইগারদের। অর্থাৎ টানা দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন হাসান। মাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলছেন তিনি, সবমিলে ১৯ উইকেট তাঁর ঝুলিতে ২২.৭৮ গড়ে। তাঁর এই দুর্দান্ত শুরু নতুন দিনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে। এখনও ২৫ বছর না ছোঁয়া হাসান টানা দুই ইনিংসে ফাইফার পেয়ে ধারাবাহিকতার নজিরও রাখলেন।
লক্ষীপুরের লক্ষ্মী ছেলে হাসান এখন পর্যন্ত ২০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন কেবল ঐ টেস্ট ম্যাচে। দু’বারই ঘটনা ঘটেছে বিদেশের মাটিতে।
এরআগে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে ইনিংসে সর্বাধিক চারবার পাঁচ উইকেট নেন শাহাদাত হোসেন। দু’বার করে নেন রবিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। এছাড়া একবার করে নিয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। সবমিলে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের ক্লাবে আছে ৭ বাংলাদেশি পেসারের নাম।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে