১৭ মার্চ ২০২৪, ৩:০০ পিএম
আগের ম্যাচে তামিম ইকবাল জ্যামের কারণে মাঠে দেরিতে আসায় শাহাদাত হোসেন দীপুর সাথে ওপেনিং জুটিতে নেমেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দুর্দান্ত শতক হাঁকানোর পাশাপাশি উপহার দিয়েছিলেন বিশাল ওপেনিং জুটির। এবার সেটা না হলেও ফর্ম ঠিকই ধরে রেখে টানা শতক তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাতে ভর করে রোমাঞ্চকর ম্যাচে সিটি ক্লাবকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। শতভাগ জয়ের ধারা বজায় রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডও।
আর দিনের অন্য ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ফতুল্লায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা শেখ জামাল ৭০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে ফজলে রাব্বিকে নিয়ে ১২০ রানের জুটিতে বিপদ সামলে নেন সোহান। রাহাতুল ফেরদৌসের প্রথম শিকার হওয়ার আগে রাব্বী ৮ চারে খেলেন ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
আরও পড়ুন: আবাহনীর টানা দ্বিতীয় জয়, ব্রাদার্সকে গুঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংকের দুইয়ে দুই
তবে পরবর্তী ব্যাটারদের হতাশাজনক দিনে দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান সোহান৷ সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কায় খেলেন ১০১ রানের পার্থক্য গড়ে দেওয়া এক ইনিংস। শেখ জামাল পায় ২৫৬ রানের লড়াকু স্কোর।
রিপন মন্ডল ও শফিকুল ইসলালের তোপে ১০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ব্রাদার্স। ১৫ রানে হারায় ৫ উইকেট। সাতে নামা রাহাতুলের ফিফটি কমায় কেবল হারের ব্যবধান। ৫৩ রান করেন তিনি৷ ব্রাদার্স অলআউট হয় ৪০.২ ওভারে মাত্র ১৩৫ রানে। ৪টি করে উইকেট নেন রিপন ও
শফিকুল।
বিকেএসপি ৪-এ টসে জিতে প্রাইম ব্যাংকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিটি ক্লাব। ১১ বলে মাত্র ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হাসানকে নিয়ে ১৫৩ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন ইমন। ৭৭ বলে ৭৯ রান করে মেহেদি হাসানের বলে জাকির আউট হলেও ঠিক একশ করেন ইমন। ১১৪ বলের ইনিংস সাজান ৫টি চার ও ৫টি ছক্কায়।
অন্য ব্যাটাররা সেভাবে রান না পেলেওএ শেষের দিকে দারুণভাবে দ্রুত রান তোলার কাজ করেন মোহাম্মদ মিঠুন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ২৯ বলে। তাতে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩০৫। ৬৮ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদি।
বড় রান তাড়ায় সিটি ক্লাবের শুরুটা হয় ভালো। ৬০ রান আসে প্রথম উইকেটে। সাদিকুর রহমানকে ৩৫ রানের বোল্ড করে জুটি ভাঙেন সানজামুল ইসলাম। তবে ফিফটি তুলে নেন অন্য ওপেনার জয়রাজ শেখ। দ্বিতীয় উইকেটে শাহরিয়ার কোমলকে নিয়ে গড়েন আরেকটি পঞ্চাস ছাড়ানো জুটি। জয়রাজের ইনিংস শেষ হয় ৫৫ তে, রান আউটে কাঁটা পড়ে। বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি শাহরিয়ারও।
তবে দলকে জয়ের আশা দেখিয়ে খুনে এক ইনিংস খেলেন সাজ্জাদুল হক রিপন। তামিমদের চিন্তা বাড়িয়ে সিটি ক্লাব অধিনায়ক মাত্র ৩৭ বলে করেন ৭৬ রান। ৭টি ছক্কার পাশাপাশি চার মারেন ৫টি। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে হ্রদয় ভঙ্গ হয় তাদের। শেখ মাহেদির করা ৫০তম ওভারের শেষ তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩ রানে হারতে হয় দলোটিকে। ৮৬ রানের ৪ উইকেট শিকার ধরেন মাহেদি।
আরও পড়ুন: বিদেশি ছাড়া ডিপিএলের প্রথম দিনে আবাহনী-শেখ জামালের ম্যাচ
বিকেএসপি ৪-এ আবাহনীর জয়টা ধরা দেয় সহজেই। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ব্যাকফুটে চলে যায় শুরুতেই৷ ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয়ে বোর্ডে মাত্র ৪৭ রান জমা করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। প্রথম স্পেলে দারুণ বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ। শুরুর সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি শাইনপুকুরের।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা আকবর আলি দলের বিপদে হাল ধরেন। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন বাংলাদেশের প্রথম অ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। পঞ্চাশে পা রাখেন মাত্র ৪০ বলে। তবে বিপজ্জনক হওয়ার আগেই তাকে থামান আফিফ হোসেন। ৪৪ বলে ৫৫ রানে আউট হন আকবর
অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার মধ্যে একপ্রান্ত আগলে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন এসএম মেহরব। ৭৯ বলে অপরাজিত থাকেন ঠিক ৫০ রানে। শাইনপুকুর ৪২.৪ ওভারে ১৬৯ রান গুটিয়ে যায়।
রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে বাদ পড়া লিটন ডিপিএলেও ছন্দ পাননি। তিনে নেমে ১৯ বলে করতে পারেন মোটে ৫ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
প্রথম দুই ম্যাচে ৭১ ও ৯৮ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলা সাব্বির হোসেন এদিন বড় স্কোর করতে পারেননি৷ ১১ রানে আউট হন এই ওপেনার৷ তবে অন্য ওপেনার নাইম শেখ খেলেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস। ৪টি চার ও তিন ছক্কায় করেন ৬৬ রান। তার বিদায়ের পর ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ।
বল হাতে ৩ উইকেট শিকার ধরা আফিফ নটআউট থাকেন ২৫ রানে। জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান, ৫৯ বলে।
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৯ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
৩২ দিন আগে
ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করার সিরিজে প্রায় ৪৯ গড়ে ২৪৪ রান করেও উইল ইয়ং নিউজিল্যান্ডের একাদশে জায়গা হারিয়েছেন! কেন হারিয়েছেন? কারণ দেশটির ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানটিকে জায়গা করে দিতেই তাকে বাদ দিতে হয়েছে! সেই ব্যাটসম্যানটি কেন উইলিয়ামন, আর ফিরেই ১৯৭ বলে খেলেছেন ৯৩ রানের ইনিংস, হাঁকিয়েছেন দশটি চার।
ক্রাইস্টর্চাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইলিয়ামসন প্রমাণ রেখেছেন কেন তিনি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার? হ্যাগলি ওভালে ৯৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। ফেব্রুয়ারিতে হ্যামিল্টনে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। এরপর ৮টি ইনিংস খেলেছেন, কিন্তু আর তিন অংকের দেখা পাননি। এবার হাতছানি ছিল ৩৩-তম সেঞ্চুরির, তবে সেটি করা সম্ভব হয়নি ৭ রান দূরে থেকে আউট হওয়ায়।
আরও পড়ুন
আইপিএল মেগা নিলাম : চড়া মূল্য গাজানফারের, অবিক্রীত উইলিয়ামসন-মুজিব |
তাকে ঘিরে বেশ কিছু ছোট ছোট ইনিংস খেলেছেন লামাম-রবীন্দ্ররা। তখন আরও বড় ইনিংসের ইঙ্গিত ছিল নিউ জিল্যান্ডের তরফে। ৬০ ওভারের আগ পর্যন্ত দাপট ছিল কিউইদের। ৬০ ওভারের পরে অবশ্য নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের কামব্যাক করেছে। দিনশেষে উইকেটে অপরাজিত রয়েছেন ৪১ রানে গ্লেন ফিলিপস এবং ১০ রানে টিম সাউদি।
৩১৯ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেছে কিউইরা। আর তাই কিছুটা হলেও মন খারাপ উইলিয়ামসনের,
‘এখানকার উইকেট খুব ভালো, শুরুটা একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। দু’দলের খেলায় দিনশেষে একটা ভারসাম্য আছে। আমাদের আরও বড় পার্টনারশিপ তৈরি করা দরকার ছিল।’
উইলিয়ামসন যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২২৭। দিনশেষে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন গ্লেন ফিলিপস, সাথে শেষ সিরিজ খেলতে থাকা টিম সাউদি ১০ রানে। ইতিমধ্যে ২১ রানের জুটি হয়েছে, আর তাই উইলিয়ামসনের বিশ্বাস কিউইদের ইনিংসটা আরও বড় হবে। তবে অফস্পিনার শোয়েব বশির হয়ে উঠেছেন বড় হুমকি, ইতিমধ্যে ৬৯ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। ক্যারিয়ারে চতুর্থবার পাঁচ উইকেট শিকারের হাতছানি তাঁর সামনে।
আরও পড়ুন
তৃতীয় টেস্টেও উইলিয়ামসনকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড |
গ্লোবাল সুপার লিগে রান আউটে কপাল পুড়েছে রংপুর রাইডার্সের, প্রথম ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সেটি স্বীকারও করেছেন। সহজ ম্যাচ নির্ধারিত ২০ ওভারে জিততে না পারা, এরপর সুপার ওভারে হেরে যাওয়ার পর অধিনায়ক বেশ হতাশাই প্রকাশ করেছেন।
গায়ানায় টস জিতে আগে ব্যাট করে হ্যাম্পশায়ার। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে ইংলিশ দলটি। জবাবে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল রংপুর, ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে তারা। স্কোর টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। শেষ ৩ ওভারে রংপুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। এমন সমীকরণও মেলাতে পারেনি রংপুর। অধিনায়ক সোহান হতাশা লুকাননি 'এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। টুর্নামেন্ট ভালোভাবে শুরু করার খুব দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করলাম।'
আরও পড়ুন
সোহান-মাহেদিকে ধরে রাখল রংপুর রাইডার্স, ডিরেক্ট সাইনিং সাইফ উদ্দিন-খুশদিল |
কেন এই সহজ সমীকরণ মেলানো যায়নি তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অধিনায়ক। তাঁর হিসেবে রানআউটের কারণেই হারতে হয়েছে,
‘পনেরো ওভার পর আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিলাম। এরপর আমরা এটা মিস করেছি। আমার মনে হয় রান আউট দু’টির কারণে আমাদের ম্যাচ হারতে হয়েছে।'
সুযোগ ছিল সুপার ওভারেও। খুশদিল শাহ’র ছক্কায় ১২ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। এই রান ডিফেন্ড করতে ইংলিশ পেসার জ্যাক চ্যাপেলের ওপর আস্থা রেখেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। শেষ ২ বলে যখন ৫ রান দরকার, তখন পঞ্চম বলে এই পেসারকে আরো একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন তাঁরই স্বদেশি লিয়াম ডসন।
গায়ানার উইকেটে মাঝে-মাঝে বল নিচু হয়ে আসছিল, কিন্তু ব্যাটে খুব ভালোভাবে আসছিল বলে ম্যাচ শেষে জানান অধিনায়ক। গায়ানায় শান মাসুদের ধীর গতির ফিফটিতে ১৩২ রানের পুঁজি পায় হ্যাম্পশায়ার। রংপুরের হয়ে ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন জ্যাক চ্যাপেল। ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টেফেন টেইলর উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৬ রান। তবে দুই ওপেনার ফেরার পরই রানের গতি কমে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের ৭ রান প্রয়োজন ছিল। ৬ রানের বেশি নিতে পারেনি রংপুর।
আরও পড়ুন
ইমনের টানা দ্বিতীয় শতক, সোহানের ক্যাপ্টেনস নক, আবাহনীর তৃতীয় জয় |
১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে রংপুর রাইডার্স, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেভাবে আলো না ছড়াতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অগ্নিঝরা এক স্পেল উপহার দেন তাসকিন আহমেদ। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার উপহার দেন অভিজ্ঞ এই পেসার। তার একটা দারুণ স্বীকৃতি পেলেন তিনি। বোলারদের টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাসকিন।
বুধবার আইসিসি প্রকাশ করেছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ। সেখানে ১৬ ধাপ এগিয়ে ৫১তম স্থানে উঠে এসেছেন তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের রেটিং পয়েন্ট এখন ৩৮৩, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ উইকেটে নেন ৬ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই ছিল তাসকিনের প্রথম ফাইফার।
প্রথম টেস্টে সেরা ছন্দে না থাকা তাইজুল ইসলাম কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। বাঁহাতি এই স্পিনার ৫ ধাপ নেমে এখন আছেন ২৩তম স্থানে। দুই ইনিংসে চার উইকেট নিলেও আরেক স্পিনার ও বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের এক ধাপ অবনমনে অবস্থান ২৬তম।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য দারুণ উন্নতি করেছেন ম্যাচে ব্যাট হাতেও ভালো করা মিরাজ। ২৩ ও ৪৫ রানের দুটি ইনিংস ও সাথে চার উইকেট তাকে নিয়ে এসেছে যৌথভাবে সাকিব আল হাসানের সাথে তৃতীয় অবস্থানে। দুজনেরই রেটিং পয়েন্ট ২৬৯।
প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করা লিটন দাস এক ধাপ উন্নতি করেছেন ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে। যৌথভাবে তিনি এখন আছেন ৩২তম। প্রথম ইনিংসে ঠিক ৫০ রান করা অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হকেরও উন্নতি হয়েছে। এক ধাপ এগিয়ে তিনি এখন আছেন ৪৭তম অবস্থানে। চোটের কারণে এই সিরিজ মিস করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তিন ধাপ পিছিয়ে চলে গেছেন ৫৯তম স্থানে।
চলতি বছর বাংলাদেশের মেয়েদের সব ফরম্যাটে গেছে কঠিন একটি বছর। ব্যাটারদের অধারাবাহিকতা ম্যাচের পর ম্যাচ দলকে ভুগিয়েছে। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভিন্ন চেহারায় হাজির হলেন তারা। দেড় বছর পর দলে ফেরা শারমিন আক্তারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সাথে জ্বলে উঠলেন অন্য ব্যাটাররাও। এরপর বোলারদের সম্মিলিতে প্রয়াসে মিলল দাপুটে জয়।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১৫৪ রানের। আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২৫২, যা এই ফরম্যাটে এখন দলীয় সর্বোচ্চ। জবাবে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শুরুটাই ছিল দারুণ বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং হলেও ভালো একটা ভিত এনে দেন ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন। পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করে মুরশিদার বিদায়ে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। এরপরই বাংলাদেশ পায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া জুটিটি।
ফারজানা ধরে খেললেও এক বছরের বেশি সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে নামা শারমিন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। দারুণ সব শট খেলেন ইনিংসের একদম শুরু থেকেই। মাত্র ৪১ বলেই করে ফেলেন ফিফটি। শতরানের জুটি গড়ার পথে পঞ্চাশে পা রাখেন ফারজানাও।
শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ৬১ রান করে থামেন তিনি। তবে তার আগে শারমিনের সাথে গড়েন ১০৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শেষের দিকে নেমে দ্রুত রান তোলার কাজটা ভালোই করে দেন অধিনায়ক নিগার। ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৩ চারে করেন ২৮ রান।
চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পরও আক্ষেপই সঙ্গী হয় শারমিনের। ফ্রেয়া সার্জেন্টের বল ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ৯৬ রানে। মাত্র ৮৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১৪ বাউন্ডারিতে। তবে তার ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ পায় ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। আগেরটি ছিল ২০২৩ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (৩ উইকেটে ২৫০)।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড। কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। ওপেনার সারাহ ফোর্বস কিছুটা লড়েন ২৫ রান করে। পুরো ইনিংসে তিনি ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটার পারেন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে।
ফলে ২৮.৫ ওভারে একশর আগেই শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের। পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত এক স্পেল করা মারুফা আক্তার চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সুলতানা খাতুন ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। স্পিনার নাহিদা আক্তার ২ উইকেট নেন ২৩ রান খরচায়।
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ এম
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর থেকে যেন উল্টো পথে ছুটছে বাংলাদেশ। লাল বলের ক্রিকেটে একে একে টানা ছয় ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে দলটি। আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। বোলাররা দারুণ লড়াই করলেও সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তাই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে মেহেদি হাসানের মিরাজের দলকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক আশাবাদী, দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে দল।
আর ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা জাকের আলি অনিকের চাওয়া ওপরের দিকের ব্যাটারদের চেয়ে আরও বেশি অবদান। মাত্র দুই টেস্ট খেলা তরুণ এই ব্যাটার এরই মধ্যে সাত-আটে নেমে খেলে ফেলেছেন দারুণ কয়েকটি ইনিংস। যার মধ্যে রয়েছে এই টেস্টে একটি ফিফটি ও ৩২ রানের ইনিংস এবং দুটিই চাপের মুখে। এর মূল কারণ শীর্ষ ছয়ের ব্যাটারদের ভালো না করতে পারা। প্রথম ছয় ব্যাটার মিলে দুই ইনিংসে ফিফটি এসেছে কেবল একটি।
২০১ রানে হারের পর মিরাজ শুনিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, যা কয়েক মাস ধরে লাল বলের ক্রিকেটে কোনভাবেই যেন করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। “এই ম্যাচটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেভাবে খেলা উচিৎ ছিল, আমরা ব্যাটাররা সেভাবে খেলতে পারিনি। জ্যামাইকাতে নতুন কন্ডিশন, নতুন উইকেট থাকবে। উইকেট ও কন্ডিশন দেখে আমরা একাদশ সাজানোর চেষ্টা করব। এই ম্যাচে ভুলগুলো কোথায় করেছি তা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।”
প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করা বাংলাদেশের তিন ব্যাটার মুমিনুল হক (৫০ রান) লিটন দাস (৪০ রান) ও মিরাজ (২৩ রান) সেট হয়েও পারেননি ইনিংস লম্বা করতে। ফলে বড় একটা জুটি হয়নি, যা দলকে চারশ বা তার বেশি রানের স্কোর এনে দিতে পারত। যা বদলে দিতে পারত ম্যাচের চিত্র। কারণ, দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন বোলাররা।
মিরাজের আক্ষেপ তাই একটা বড় জুটি না হওয়ার। “আমাদের বড় জুটি হয়নি। ৩০, ৪০, ৫০ রানের ছোট ছোট জুটি হয়েছে। ১০০-১২০ রানের একটা জুটি হলে ম্যাচটা অন্যরকম হত। চারশর কাছাকাছি যেতে পারলে ম্যাচটা সহজ হয়ে যেত। দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের দেড়শ রানে অলআউট করে দিয়েছিলাম।”
অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার ছিলেন জাকের। সাতে নেমে দুই ইনিংসেই ব্যাটিং করেছেন পরিস্থিতির চাহিদা মেনে। করেছেন মোট ৮৪ রান। ডানহাতি এই ব্যাটারের মতে, শুরুর ব্যাটারদের ভালো করার বিকল্প নেই। “নতুন বটা আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার আশা, পরের ম্যাচে টপ অর্ডার থেকে কেউ না কেউ একটা বড় স্কোর করবে।”